উত্তর পূর্বের সমস্ত রাজ্য আগামীদিনে সমৃদ্ধশালী হবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে নিয়ে অষ্টলক্ষ্মী ধারণাটি দেশ এবং বিশ্বজুড়ে গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হলো উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সমান করে তোলা। আজ উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি সেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ একথা বলেন। প্লেনারি সেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলকে সমগ্র বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন। গত দশ বছর উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে। আগে শুধু উত্তর পূর্বের বিষয়টি আলোচনার মধ্যে থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৎ প্রচেষ্টা নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি সেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রায় ১০ হাজার ৫০০-র মতো সন্ত্রাসবাদী সহিংসতা ত্যাগ করে মূলস্রোতে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, উত্তর পূর্ব দিয়ে মাদকদ্রব্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাচার হওয়ার কারণে ভারতে এটি একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপরও বিষয়টি সমাধানের জন্য আরও অনেক কিছু করতে হবে। তিনি বলেন, অষ্টলক্ষ্মী ধারণাটি সমগ্র দেশ এবং বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। এই অঞ্চলের সবকটি রাজ্য আগামীদিনে সমৃদ্ধশালী হবে। তিনি বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ডোনার মন্ত্রক গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, অ্যাক্ট ইস্ট, অ্যাক্ট ফাস্ট, অ্যাক্ট ফার্স্ট মন্ত্রগুলি উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্যদ দ্বারা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্লেনারি সেশনে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলে উগ্রবাদ ও সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অসাধারণ ভূমিকার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অঞ্চলে উগ্রবাদী কার্যকলাপ ৭১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ও জীবনহানি হ্রাস পেয়েছে ৬০ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলে যে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গৃহীত অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কারণে। উত্তর পূর্বাঞ্চল দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের জন্য আশ্রয় হিসেবে কাজ করবে। এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগণ ৮০ বার সফর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৬৪ বার সফর করেছেন।