সিপাহীজলা জেলার পূর্ব নলছড়ের দশমীঘাট মাঠে আয়োজিত বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সম্মেলন

গ্রামীণ এলাকার জনগনের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুফল সকল অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত জীবন মানের উন্নয়ন করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। বৃহস্পতিবার সিপাহীজলা জেলার পূর্ব নলছড়ের দশমীঘাট মাঠে আয়োজিত বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সম্মেলনে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই কার্যক্রমে স্বাস্থ্য পরিষেবার অংশ হিসেবে বিধায়ক কিশোর বর্মনের বিশেষ উদ্যোগে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টেস্টিং ভ্যানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্য সরকারের অন্যতম অভিমুখ গ্রামীণ জনগনের সার্বিক বিকাশ। তাদের উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে আমরা প্রতি ঘরে সুশাসন কার্যক্রম শুরু করেছি। এনিয়ে দুবার হলো। এর মানে হচ্ছে সমস্ত স্কিম যাতে অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারি। এরই অংশ হিসেবে আজ এখানে এসটি এসসি সার্টিফিকেট, পিআরটিসি সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে আপনারা সুখবর পেয়েছেন যে কিছুদিন আগে আমাদের রাজ্যের বিকাশের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় স্তরে ৭টি বিষয়ে সম্মানজনক জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে আমাদের রাজ্যের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের সরকার যে সুশাসনের কার্যক্রম করছে এটাই একটা উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ স্তরে সফলতার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর ও গ্রামীণ স্বশাসিত সংস্থাগুলির কঠোর পরিশ্রম ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের কারনেই সাফল্য এসেছে। আগামীদিনেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। উন্নয়নের কোন সীমারেখা নেই। প্রধানমন্ত্রী মানেই উন্নয়ন। আমাদের সরকার সবসময় উন্নয়নের চেষ্টা করে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা করে থাকে। ত্রিপুরার রাবার, বাঁশ, বেত, আগর, আনারস ইত্যাদি সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে আমাদের জিএসডিপিকে বৃদ্ধি করতে হবে। অনেক রাজ্য থেকে আমাদের জিএসডিপি উপরের স্থানে রয়েছে। আর সেটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তাভাবনার কারণে। ডাঃ সাহা বলেন, মানুষের জন্যই আমরা সরকারে রয়েছি। আগের সরকার সমস্যা সমাধান না করে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করে সরকারে থাকতো। কিন্তু আমরা সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে সরকারে থাকতে চায়। এখন পর্যন্ত এই সরকার ১৩ হাজারের উপরে সরকারি চাকরি প্রদান করেছে। এরমধ্যে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ক্রমে প্রায় ৬ হাজার ৬৭ জন স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি দেওয়া হবে। গতকাল প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দুই জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করি। আগামীতে অন্যান্য জেলার বিধায়কদের নিয়েও বৈঠক হবে। মূলত, জনগনের কল্যাণে প্রশাসনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *