ত্রিপুরার মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বিজেপি সরকার প্রতারক সরকার। জনগণকে ভুল প্রতিশ্রুতি এবং বিভ্রান্ত করে শাসন ক্ষমতায় এসেছে। এই অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যবাসীকে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে। আজ সিপিআইএম বিলোনীয়া মহকুমা সম্মেলনের এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পুলিটব্যুরোর সদ্যস মানিক সরকারএদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরার অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাজ্যে জিনিসপত্রের দাম, বেআইনী মুজতদারী এবং কালোবাজারী বাড়ছে। গ্রামে গ্রামে কাজ ও খাদ্যে অভাব দেখা দিয়েছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ঘরে ঘরে কাজ অভাব দেখা দেয় নি।তাঁর কথায়, বামফট্র সরকার শুধু রেগার কাজের মাধ্যমে গরিবদের বাঁচিয়ে রাখতো না। রাজ্যের প্রায় ২০ টি দপ্তরের মাধ্যমে কাজের সুযেগ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতো। তৎকালীন সময়ে অনহারের কারণের সন্তান বিক্রি হওয়া বন্ধ হয়েছিল। বরং বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বহি:রাজ্যের জনগণ ত্রিপুরায় আসত। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি সরকারের আমলে রেগা ও টুয়েপে কাজ নেই। কাজের সন্ধানে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অনাহারে সন্তান বিক্রি করে চলছে জনগন। আর রাজ্য সরকার তার স্বীকার করছে না।
এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শিক্ষার বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। প্রত্যেকটি স্কুল শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে। প্রতিটি শিক্ষকের দাবিতে পড়ুয়ারা রাস্তায় আন্দোলনে নামছে। শিক্ষকের অভাবে অনেক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে পড়ছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনো হেলদোল নেই। তাছাড়া, প্রতিটি হাসপাতালে ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে।তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সাথে ত্রিপুরার কর্মচারীদের ২৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ফারাক রয়েছে। আসলে এটা বিজেপি জোট সরকারের দুর্বলতা ও ত্রুটির কারণে হয়েছে। বাম আমলে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের বছরে দুইবার মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হত। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের মহার্ঘ ভাতার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই বিগত সরকারের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকার থাকা সত্ত্বেও সরকার কর্মচারীরা আর্থিকভাবে বঞ্চনার শিকার জনগণকে ভুল প্রতিশ্রুতি এবং বিভ্রান্ত করে শাসন ক্ষমতায় এসেছে। এর বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীকে একত্রে লড়াই করতে হবে।