খারিজ মরসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ২১ হাজার ৩১৫ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে রাজ্যে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার কর্মসূচি শুরু হবে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, প্রতিবছর কৃষকদের কাছ থেকে খারিফ ও রবি মরসুমে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হয়। গত মরসুমে ধান ক্রয় করা হয়েছিল ২১টাকা ৮৩ পয়সা দরে।
ধান ক্রয়ের সহায়ক মূল্যও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার প্রতি কেজি ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। তিনি জানান, রাজ্যস্তরে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে জিরানীয়া মাধববাড়ি ট্রাক টারমিনাস সেন্টারে। একই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি স্থানে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য সেন্টার খোলা হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, খারিফ মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা নিয়ে আজ কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথের উপস্থিতিতে মহকুমা শাসক, বিডিও, কৃষি দপ্তরের আধিকারিক এবং খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, ২০১৮ সালে রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে খারিফ ও রবি মরসুমে বছরে দু’বার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৫৯.৬৯৬ মেট্রিকটন ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪০৫ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এরফলে ১ লক্ষ ৮ হাজার ১২৭ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। তিনি জানান, মূলত: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা এবং তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য প্রদান করে অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করে তুলতেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ এবং কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস।