দেশের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএসএফ

দেশের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ জওয়ানরা হচ্ছেন সীমান্তের ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্স। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য নতুন প্রযুক্তি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  বিএসএফের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শালবাগানস্থিত সদর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বিএসএফ জওয়ানদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি বিএসএফের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

                                     অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। বিশেষ করে সীমান্ত সুরক্ষায় দিনরাত একাকার করে কাজ করছেন আপনারা। ষাটের দশকে বাহিনীর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের সুরক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে বিএসএফ। এজন্য আপনাদের অনেক বলিদান দিতে হয়েছে। সীমান্তের ফ্রন্ট রানার হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। আপনারা আছেন বলেই আমরা নিরাপদে জীবন অতিবাহিত করতে পারছি। দেশের সর্বপ্রথম রক্ষক হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। তারাই প্রথমে দেশকে রক্ষা করেন। দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য সবসময় চিন্তাভাবনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বর্তমানে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। সীমান্ত এলাকাকে কিভাবে আরো সুরক্ষিত করা যায় সেনিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। বিএসএফ জওয়ানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশকেও রক্ষা করতে হবে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও গৃহমন্ত্রী সবসময় চিন্তাভাবনা করছেন।

                              মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আজকাল সন্ত্রাসবাদীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হাতে নিয়ে দেশের অখণ্ডতার উপর আক্রমনের চেষ্টা চালায়। তাই আমাদেরও এর চাইতেও অধিক শক্তিশালী হতে হবে। আমি আগেও বিএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে অংশগ্রহণ করেছি। আমি এখানে এসে নিজের বাড়ির মতো অনুভূতি লাভ করি। বিএসএফ জওয়ানদের ট্রেনিং, সাহস, দেশের জন্য বলিদানের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজকের দিন যারা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করার দিন। শহীদদের স্মরণ করার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঘরবাড়ি, পরিবার ছেড়ে দেশের জন্য আপনারা কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমি আপনাদের অভিবাদন জানাতে চাই। পাচার বাণিজ্য রোধ করা থেকে শুরু করে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপ রোধে বিএসএফ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ত্রিপুরাকে ঘিরে ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই সুদীর্ঘ এলাকাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গেও বিএসএফ সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করেছে। যা আগামীতেও বহাল থাকবে। বিএসএফের লক্ষ্য হচ্ছে ‘জীবন পর্যন্ত কর্তব্য’।NH অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আইজি সহ বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *