আরজি কর কাণ্ডের পর গতকালই, সাংবাদিকদের সামনে প্রিজন ভ্যান থেকেই মুখ খুলেছে ধৃত সঞ্জয়। একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছে সে। বলেছে, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ বলাইবাহুল্য যা নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এমনই এক আবহে আজ আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রতিক্রিয়া শাসক নেতা শোভনদেবের। RG করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে কেন ‘চমকে’ উঠেছিলেন জানালেন তিনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আর জি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখেছিলাম। দেখে চমকে উঠেছি। একজনের পক্ষে করা সম্ভব নাকি একাধিক লোক যুক্ত ছিল, আমি বলতে পারব না। যে বা যারাই থাকুক, প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই প্রশ্ন প্রায় সবার মুখেই ঘুরেছে। অপরাধী কজন, একজন নাকি একাধিক? রাজ্যের হাত থেকে হস্তান্তরিত হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাতে এই মামলা যাওয়ার পর থেকেই প্রতিটি মেডিক্যাল পরীক্ষাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই মামলায় গ্রেফতারির পর ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় এতদিন অবধি প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। আচমকা কালই প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে প্রিজন ভ্যান থেকেই মুখ খুলেছে ধৃত সঞ্জয়। আর তার দাবি ঘিরে এই মুহূর্তে ফের বিতর্ক তুঙ্গে।
গতকাল প্রিজন ভ্যান থেকেই সাংবাদিকদের সামনে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে সঞ্জয়। সে বলে, ‘আমি যখন বলছি আমার কথা শোনেনি। এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনো কথা শোনেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে সবকিছুতে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে সেখানে বলতে দেয়নি। আমাকে নীচে নামিয়ে দিল। আমার কোনো কথা শুনছে না। পুরো সরকারই আমায় ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, না তুমি কিছু বলবে না। কিছু বললেই আমায় ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এটা ভারত সংবিধানের ন্যায়?’ প্রশ্ন তোলে সে।