চরম অভাবে চলছে শোলা শিল্পীদের সংসার

কালী পুজোয় শোলা শিল্পীদের কদর বেড়েছে। দুর্গা পুজো থেকে কালীপুজো এই কটা দিনই কাজের চাপ থাকে শোলা শিল্পীদের। বছরের অন্যান্য সময় তেমন কিছু করেন না। পূর্বপুরুষ ধরে এ কাজের সাথে যুক্ত পরিবার গুলি তবে সরকারি শোলা শিল্পীদের কোন স্বীকৃতি নেই শোলা শিল্পীদের ।সরকারি উদ্যোগে দেওয়া হয় না কোন সাহায্য বা শিল্পি ভাতা। ফলে চরম অভাবে চলছে শোলা শিল্পীদের সংসার। বর্তমানে আধুনিকতার দাপটে শোলাশিল্পী দের কাজের কদর কমেনি। পুজোর কিছু সাজ ও বছরের অন্যান্য সময় সামান্য কিছু শোলা সামগ্রী তৈরি হয়। এমনকি বর্তমানে বাজারে আর শোলা র কাজ যে পরিমাণে হয় সে হারে পারিক শ্রমিক পায়না শোলা শিল্পীরা। তাই এমন অবস্থায় সংকটের মুখে পড়েছেন জেলার শোলা শিল্পীরা ,তারা চাইছেন সরকারি সাহায্য।

মালদার কোতোয়ালী আরাপুর অঞ্চলের শোলা শিল্পীদের বসবাস চার থেকে পাঁচ ঘর। শোলা শিল্পীদের কাজ হয় কালী পূজার সময়। শোলা সালমার কাজ খুবই প্রশংসনীয়।মালদা জেলা তো বটেই উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকেও সোলার সালমার কাজ পুজো উদ্যোক্তারা নিয়ে যায়। কালী পুজোয় সোলার সালমার কাজ চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। পুজোর দিনগুলি বাদ দিয়ে বিয়ের সময় মুকুট সহ অন্যান্য জিনিস তৈর কাজে ব্যস্ত থাকে তোলা শিল্পীরা। মালদার কোতোয়ালি আরাপুর অঞ্চলের ছোলা শিল্পী ধর্মদাস জানান বাবা ঠাকুরদার আমল থেকে এই কাজ আমরা করে থাকি। ঐ স্মৃতিটাকে আমরা ধরে রেখেছি তবে আগামী দিনে আমাদের ছেলেমেয়েরা যে এই শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখবে সেটা বলা যাবে না। কারণ যেভাবে পরিশ্রম সেভাবে পারিশ্রমিক আমরা পাই না। নেই কোন সরকারি সাহায্য নেই কোন ভাতা। সংসার চালানোর জন্যই সংসার চালানোর জন্য এই কাজ আমাদের করতে হয়।

কোন শ্রমিককে আমরা এই কাজে নিযুক্ত করি না। বাড়ির পরিবারদের সদস্যরাই এই কাজে নিযুক্ত থাকে। কারণ শ্রমিককে কাজ করাতে গেলে পারিশ্রমিক দিতে হবে। বর্তমানে যা লাভ থাকে তাতে শ্রমিককে পারিশ্রমিক দিতে পারা যায় না। কালী পূজার সময় ভালো আমাদের কাজের প্রেসার থাকে। দেবী মূর্তির যে শোলা শোলমার যে অলংকার করতে হয় সম্পূর্ণ হাত দিয়ে তৈরি করতে হয় এ কাজকে। সরকারি আবেদন করলেও কোন সাহায্য পায় না ।আবার কাজ পেতে গেলে পয়সা দিতে হবে। শান্তি দাস জানান বাড়ির কাজকর্ম শেষ করে যতটুকু সময় পায় আমরা সলমার কাজ করে থাকিকালী পূজাতে ভালো কাজ হয়। শোলা কেটে কাগজের উপরে ড্রয়িং করে তারপর সেই শোলা গুলিকে নিখুঁতভাবে আঠা দিয়ে সেটে এরই পাশাপাশি আরো বেশ কিছু বাজার থেকে সামগ্রী কিনে এনে সেই কাজগুলি কেউ নিখুঁতভাবে করতে হয়। সকাল থেকে রাত অব্দি এ কাজ করতে হয় তার মাঝখানে কিছুটা বিশ্রামও নিতে হয়। পুজোর সিজিন ছাড়া আমরা বিয়ের সময় বরের মুকুট কনের মুকুট সহ বেশ কিছু কাজ করে থাকি ।তবে এই শিল্প কলা আগামী দিনে চিন্তার বিষয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *