বিভাজনকে দূরে রেখে ঐক্যের ভাব বজায় রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

কিছু অংশের লোক রাজ্যে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যা করা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও রাজ্যের বিকাশে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পতাকা নাড়িয়ে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে উমাকান্ত একাডেমি পর্যন্ত “একতার জন্য দৌড়”-এ অংশ নেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, “নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীকে একতা দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা একতা দিবস এবং ঐক্যের জন্য দৌড় কর্মসূচি পালন করছি। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ভারতের লৌহমানব হিসেবে পরিচিত এবং স্বাধীনতার পরেও তিনি দেশের একতা ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যা সবাই অবগত রয়েছেন”। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ভারতকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার পর ৫৬২টি রাজন্য শাসিত রাজ্যকে ভারতীয় ইউনিয়নে একত্রিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটা শুধুমাত্র তাঁর কারণেই সম্ভব হয়েছিল। যদিও আমরা প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর এই দিনটি পালন করি।

কিন্তু এবার দেওয়ালি উৎসবের কারণে আমরা ২৯ অক্টোবর এই দিনটি পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি রান ফর ইউনিটির সূচনা করেছিলেন এবং সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার চিন্তা করেছিলেন। তবে কিছু লোক আছে যারা বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই করা উচিত নয়। রান ফর ইউনিটি দিশা দেখায় যে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং একসাথে কাজ করতে হবে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, সাংসদ ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা বিধানসভার চিফ হুইপ কল্যাণী রায়, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পি কে চক্রবর্তী, ডিজি (গোয়েন্দা) অনুরাগ, জিমন্যাস্ট এবং পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ড.বিশাল কুমার সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *