পাহাড়ে বনধের জেরে বিপাকে পর্যটকরা, পর্যটকদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে। তারই মাঝে ২০শতাংশ বোনাসের দাবিতে সোমবার ১২ঘন্টা বনধ পাহাড়ে। বনধ ডেকেছে আটটি চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ৷ বনধের সমর্থনে এদিন সকাল থেকেই পথে নেমেছেন চা শ্রমিকেরা।শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি চা শ্রমিকেরা রোহিনী টোলগেট সংলগ্ন এলাকায় পিকেটিং-এ শামিল হন। ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় বসে সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান তোলেন তারা।সংগঠনের তরফে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে প্রতিটি কারখানার সামনে কর্মবিরতি পালন সহ বিক্ষোভ দেখানো হবে।

এদিকে বনধের জেরে রোহিনী টোলগেটের দুই প্রান্তে পর্যটকদের গাড়ির লাইন পড়ে যায়৷ পিকেটারদের কথায়, চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যা পর্যটকদেরও জানা প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ে বেড়াতে এসে বিপাকে পর্যটকরা। অন্যদিকে রাজ্য সরকার বরাবর বনধ নিয়ে কড়া ভূমিকা পালন করে চলেছে। পর্যটন নির্ভর পহাড়েও বিগত প্রায় ছয় সাত বছর কোনো বনধ হয় নি। রীতিমতো শান্ত পরিবেশ পাহাড়ে। তবে এদিনের এই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পাহাড়ে পর্যটকরাও বিপাকে। মুখ্যমন্ত্রীও কলকাতা ফিরে যাবার পথে কড়া বার্তা দিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তিনি বনধ সমর্থন করেন না। অন্যদিকে বেলা গড়াতেই পাহাড়েও পুলিশ ও বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *