কয়েক দিন পর মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হবে মাতৃপক্ষের সূচনা এক কথায় বলা যেতে পারে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির উদিত হবে। তারপর মেতে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গোৎসবের।অসুস্থ স্বামীকে সুস্থ করতে একদিন প্রতিমা গড়েছিলেন । ধরেছিলেন সংসারের হাল । স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর পেশাকেই বেছে নিয়েছেন স্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মোহনপুরের মৃৎশিল্পী মনিকা পাল । ১৯৯৪ সালে স্বামী প্রফুল্ল পাল ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর বাধ্য হয়ে প্রতিমা গড়া শুরু করেছিলেন । টানা ৩০ বছর ধরে প্রতিমা গড়া তাঁর জীবনে মূল পেশা হয়ে উঠেছে।
পুজোর কয়েক দিন বাকি আছে । দম ফেলার ফুরসৎ নেই। মনিকা জানান , দুর্গাপুজো কে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের একটা সংস্থান হয়। প্রতিমা গড়ার বাঁশের কাঠামো থেকে , খড় , মাটি , শোলা , ডাকের সাজ , রঙ , শাড়ি , গয়না । গাড়ি চালক থেকে মন্ডপ কারিগর , বিভিন্ন ব্যাবসা চাঙ্গা হয়। কুঁড়ের ঘর থেকে পাকা বাড়ি , মেয়ের বিয়ে , আরও কয়েকজনের কর্ম সংস্থান সব করেছেন এই প্রতিমা গড়ে । বাড়ির পাশেই প্রতিমা গড়ার ঘর ।
যা এতদিন টিনের ছাউনি ছিল এক বছর আগেই পাকা ছাদ হয়েছে । কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন । ধাপে ধাপে সেই ঋণ পরিশোধ হয়ে আসছে।এবছর ২৩ টি দূর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ পেয়েছেন। এসব প্রতিমা মেদিনীপুর , খড়্গপুরের বিভিন্ন মন্ডপে যাবে। সারা বছরই প্রতিমা গড়া চলে তাঁর এই কারখানায়। খাম খেয়ালি বৃষ্টির জন্য প্রতিমার কাজ গুলো শেষ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে।