সিগনিফাই পশ্চিম ত্রিপুরায় ৩৩,০০০+ বন্যাকবলিত পরিবারকে এলইডি লাইট দিয়ে সহায়তা করে

পশ্চিম ত্রিপুরায় বিধ্বংসী বন্যার পরে, সিগনিফাই, লাইটিংয়ের গ্লোবাল লিডার, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এমার্জেন্সি LED লাইটিং দিয়ে সহায়তা করেছে৷ কোম্পানির ‘হর গাঁও রোশন’ সিএসআর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই প্রকল্পটি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা প্রশাসন এবং শ্রী দীপক মজুমদার, মাননীয় মেয়র এবং ড. বিশাল কুমার, আইএএস, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) ও কালেক্টরের নেতৃত্বে আগরতলা পৌর কর্পোরেশনের পার্টনারশিপে সম্পাদিত হচ্ছে। ফাউন্ডেশন ফর ইন্টিগ্রেটেড সাপোর্ট অ্যান্ড সলিউশন (FISS) এর সাথে যুক্ত, এই প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নিরাপদ এবং আলোকিত স্থানকে সুনিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনরুদ্ধারে অবদান রাখার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

এই সহযোগিতার বিষয়ে নিখিল গুপ্ত, হেড অফ মার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি, গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিএসআর – সিগনিফাই, গ্রেটার ইন্ডিয়া বলেন, “আমাদের #BrighterLivesBetterWorld ভিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, সিগনিফাই-এ, আমরা আলোর রূপান্তরকারী শক্তিতে বিশ্বাস করি, বিশেষ করে প্রয়োজনের সময়ে। পশ্চিম ত্রিপুরায় বন্যা-আক্রান্ত পরিবারগুলোকে লাইটিং সল্যুশন সরবরাহ করার মাধ্যমে, আমরা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার সাথে সাথে স্বাভাবিকতার অনুভূতিকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য রাখি। এই উদ্যোগটি সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের উত্সর্গকে প্রতিফলিত করে এবং আমরা এই কমিউনিটিগুলোর পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।”

এই বিষয়ে মাননীয় মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার বলেন, “আমরা আনন্দিত যে সিগনিফাই পশ্চিম ত্রিপুরার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য এমার্জেন্সি LED লাইটিং সরবরাহ করার জন্য এগিয়ে এসেছে৷ এই উদ্যোগটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একসাথে, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পুনরুদ্ধার এবং সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাদের নিরাপদ এবং আলোকিত স্থানে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

বিধ্বংসী বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে, যা বৈদ্যুতিক অবকাঠামোকে প্রভাবিত করেছে এবং সম্প্রদায়গুলোকে আরও পিছনে ঠেলে দিয়েছে, এমার্জেন্সি লাইটিং একটি লাইফলাইন হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা শিশুদের পড়তে ও পরিবারগুলোকে নিরাপদে কাজ করতে সক্ষম করে এবং বিপদের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়৷ সিগনিফাই স্থানীয় পার্টনারদের সাথে এবং জেলা প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে এই সম্প্রদায়গুলোকে আলোকিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ মেয়র ও জেলা শাসকের ভিশন অনুযায়ী তারা একটি ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান তৈরি করতে সচেষ্ট যা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত ব্যক্তিদের কাছে LED এমার্জেন্সি বাল্বের ডিস্ট্রিবিউশনকে সুনিশ্চিত করে৷

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল বাড়িকে আলোকিত করে পশ্চিম ত্রিপুরার গ্রামের মধ্যে প্রায় ৬৬০০ বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবনযাত্রার মানের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। বন্যার সময় অন্ধকারের প্রভাব দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ৩৩০০০+ পরিবারের সুরক্ষাকে উন্নত করার লক্ষ্যে অত্যাবশ্যক পরিষেবা প্রদান এবং স্বাভাবিক জীবন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার লক্ষ্য রাখি। বিভিন্ন ধরনের এমার্জেন্সি LED লাইটিং সরবরাহ করে, সিগনিফাই একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই সমাধান তৈরি করার আশা করে যা পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি প্রদান করবে। এই প্রকল্পটি একটি উন্নত ভবিষ্যতের পথ উজ্জ্বল করার জন্য লাইটিং সলিউশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সুবিধা দেয়। প্রকল্পটি সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার এবং নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *