এবার পুজোয় জঙ্গলে পর্যটকদের স্বাগত জানাবে মহিষের গাড়ি! অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন ব্যপারটা কি ? দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে দুর্গা পুজো। পুজোর ছুটিতে অনেকেই প্ল্যান সেরেছেন উত্তরের ডুয়ার্সের ঘন বন জঙ্গলে রোমাঞ্চকর ট্রিপের কিংবা স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতির কোলে পাহাড়ের চূড়ার সৌন্দর্যে ক’টা দিন হারিয়ে যাওয়ার। সেই ভ্রমণবিলাসীদের জন্যে রইল দারুন সুখবর! ঘন জঙ্গল ঘুরে দেখাবে মহিষের গাড়ি।
গ্রাম বাংলার এককালের জনপ্রিয় মহিষের গাড়ি কালের নিয়মে এখন লুপ্তপ্রায়। সেই গ্রাম বাংলার মাটির ছোঁয়া পাবেন এখানে গেলেই। ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে রামসাই বন এবং রামসাই গ্রাম। এখান থেকে গরুমরা বনের অতুলনীয় বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। এরই সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা বেশি থাকায় তাদের চাক্ষুষ করা সম্ভবনাও বেশি। রামসাই বনের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণীয় ভিউ স্পট মেদলা ওয়াচ টাওয়ার। এটি সারা বছরই খোলা থাকে। সবুজ বনের মধ্য দিয়ে পর্যটকদের ওয়াচ টাওয়ারে আনার জন্য মহিষের গাড়ি ব্যবহার করা হয়। সামনেই পুজো, তাই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে এখন থেকেই সেজে উঠছে মহিষের গাড়ি গুলি। জঙ্গলের ভেতরে গেলেই চোখে পড়ে মহিষের গাড়ি সাজাতে ব্যস্ত চালক ভাইরা।
প্রজননের ঋতু থাকায় বিগত তিন মাস জঙ্গলের দরজা বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে যাবে পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশ দ্বার। তবে সারা বছর অন্যান্য জঙ্গল বন্ধ থাকলেও মেদলা ওয়াচ টাওয়ার সারা বছরই ওয়েলকাম জানায় পর্যটকদের। এখানে আসার জন্যে মহিষের গাড়িতে চেপে আসতে হয় পর্যটকদের। বলাই যায়,এভাবেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য টিকে রয়েছে রামসাইতে। মেদলা ওয়াচ টাওয়ার টিকিট কাউন্টারের ঠিক পিছনেই রয়েছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় রামসাইয়ের জনপ্রিয় প্রজাপতি পার্ক এবং প্রজনন কেন্দ্র। এছাড়াও মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই রয়েছে কালিপুর ইকো ভিলেজ ক্যাম্প। বন্যপ্রাণীদের চোখের সামনে থেকে দেখবার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা এটি। পুজোর সময় পর্যটকদের রোমাঞ্চকর জঙ্গল চেপে যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তার জন্যেই মহিষের গাড়ি গুলি মেরামত করে তোলা হচ্ছে। আপাতত ছ’টি মহিষের গাড়ি রয়েছে বলেই গরুমারা সাউথ রেঞ্জ অফিস তরফে জানা গিয়েছে। তা হলে এবার পুজোয় ডুয়ার্স প্ল্যান থাকলে একবার ঘুরে যেতেই পারেন রামসাই থেকে।