জেলায় প্রথম তিনটে দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে তাক লাগালো এক কলেজ পড়ুয়া

জেলায় প্রথম নিজে হাতে তিনটে দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে তাক লাগালো এক কলেজ পড়ুয়া। সরকারি সুযোগ সুবিধে পেলে ভালো হতো জানালেন শিল্পী মহোদয়। মহালয়ার আগে কাজ শেষ হবে। “বয়স তখন বারো, ইচ্ছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করবো। তবে ছোটো থাকায় সেই ভাবে করতে পারিনি। কিন্তু ইচ্ছে ছিল যে একদিন করবো। মাটি খুব প্রিয়, এখন সেই মাটি কেই ভালবেসে ছোটো বেলার ইচ্ছে টাকে ধীরে ধীরে রূপ দিচ্ছি”। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের এক নতুন প্রজন্ম প্রতিমা শিল্পী সংবাদ মাধ্যম কে ঠিক এমনই জানালেন।

নাম অরিত্র ভট্টাচার্য, বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সংকেত পাড়া এলাকায়। এখনো ছাত্র পড়াশোনা চলছে, তার ফাঁকেই জোরকদমে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ। সময় নেই হাতে কোটা দিন পরেই পুজো। জেলায় প্রথম ছোট্ট কলেজ পড়ুয়া ওরফে মৃৎ শিল্পী নিজে হাতে তিনটে ঠাকুর বানাচ্ছে। উল্লেখ্য ছোটো থেকেই ইচ্ছে মাটি দিয়ে তৈরি করবে প্রতিমা। তবে তখন বয়স অল্প থাকায় সেই ভাবে করতে পারেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে মাটির কাজ কে রপ্ত করতে শুরু করে অরিত্র। জানাজায় ছোটো ছোটো প্রতিমা বাড়িতে তৈরি করতো ধীরে ধীরে লোকো মুখে ছড়াতে থাকে তার হাতের তৈরি মাটির কাজ পরে এক প্রকার বেশ সারা ফেলে।

পরবর্তীতে যত দিন যায় কাজের তিকনোতা বৃদ্ধি পায়। মাটির কাজ ছাড়া ছবি আঁকা আকি করে অরিত্র। প্রসঙ্গত তার কাজের খবর চারিদিকে পৌঁছে যেতে এবছর তিনটে ক্লাবের দুর্গা ঠাকুরের বায়না পেয়েছে অরিত্র। কলেজ পড়ুয়া এই প্রথম নিজে হাতে তিনটে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছে। দিন রাত এক করে কাজ করছে। রীতিমত যুদ্ধ কালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। সাথে সঙ্গ দিচ্ছে এক দাদা। দাদা কে সাথে নিয়ে কাজ করছে নয়তো সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে না। সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো তার পরেই রং, মহালয়ার আগে কাজ শেষ করবে বলে জানায়। ধীরে ধীরে অরিত্রর হাতে মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপে রূপ নিতে শুরু করেছে মা। সর্বদা এখন পুজো কে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *