আগস্ট মাসে একটি অভি্যোগ দায়ের হয় কোকওভেন থানায়। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের গতি ছিল দ্রুত। পুলিশ সাফল্য পায়। মোট চারজনকে গ্রেফতার করে যারা এই জাল লাইসেন্সের চক্র চালায়। গ্রেফতারের পরেই তাদের কাছ হতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৩৪টি স্টাম্প ও স্টাম্প প্যাড পাওয়া যাওয়া। স্টাম্পে কালি লেগে থাকায় বোঝা যায় এটা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি প্যাড পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে এই চক্রের কাজ ছিল জাল লাইসেন্স দেওয়া টাকার মাধ্যমে।
ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন “তদন্ত চলছে সবটা এখনো পরিস্কার নয়। তদন্ত করে দেখা যাবে কি কি উপায়ে এইব্যবসা চালানো হতো”। এব্যাপারে বিহারের গ্যাং যুক্ত থাকায় মনে করা হচ্ছে শুধু আসানসোল নয় দুর্গাপুরের ঘাঁটি করেছে। ডিসিপি জানান বিহারের বক্সার জেলার ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায়, ভিকি যাদব যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি র সাথে যুক্ত। এছাড়াও দুইজন রয়েছে আসানসোল দক্ষিণ থানার রাকেশ বার্নওয়াল , কেলাশ সোনার এরা যোগাযোগ কারী হিসাবে কাজ করতো।
ডিসিপি বলেন তদন্তে দেখা হচ্ছে এরা বন্দুক সহ জাল লাইসেন্স বিক্রি করতো কিনা কিম্বা চুরি করা আগ্নেয়াস্ত্র র জাল লাইসেন্স করে বিক্রি করতো। পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন বিহারের ১৬ টি জেলা এবং বাংলার ৮টি জেলার জাল স্টাম্প রয়েছে যা জেলা শাসকদের ও পুলিশ কমিশনারের। পুলিশ কর্তা এই গ্রেফতারকে বড় সাফল্য বলে আখ্যা দিয়েও বলেন বাকিদের গ্রেফতার করতে তদন্ত চলছে।