‘গাছের বিকল্প নেই, পরে যদি কখনো আসি এই ক্যাম্পাসে যেন আরও সবুজে ভরে ওঠে’, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ছাতনার শুশুনিয়া কৃষি মহাবিদ্যালয়ে স্ত্রী স্ত্রী ফুলগী মাঝিকে পাশে নিয়ে একথা বললেন দুখু মাঝি ওরফে ‘গাছ দাদু’।
উল্লেখ্য দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশী সময় ধরে রুখা শুখা পুরুলিয়ার মাটিতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবুজায়নের কাজ করে চলেছেন দুখু মাঝি। বর্তমানে তিনি সকলের কাছে ‘গাছ দাদু’ হিসেবেই পরিচিত। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ভারত সরকারের তরফে দেশের সর্বোচ্চ বেসারমিক সম্মাণ ‘পদ্মশ্রী’ দেওয়া হয়েছে।
শুশুনিয়া কৃষি মহাবিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়া এখান থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন। তারা এরাজ্যের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ক্ষেত্রে কর্মরত যেমন আছেন তেমনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও উচ্চপদে কর্মরত আছেন অনেকেই। যা এই মহাবিদ্যালয়কে গৌরবান্বিত করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ের সাব ক্যাম্পাস শুশুনিয়া কৃষি মহাবিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক ‘গাছ দাদু’ দুখু মাঝি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রজেক্ট অফিসার শুভঙ্কর দাস, ছাতনা ও মেজিয়ার বিডিও সৌরভ ধল্ল, শেখ আবদুল্লা সহ অন্যান্যরা।