নির্যাতিতার কম্বলটি আলাদাভাবে ‘জব্দ’ করে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার তথ্য বাস্তবের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া তিনটি অডিও ক্লিপের মাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তা কার্যত শুরু থেকেই পুলিশের দেওয়া বক্তব্যকে সিলমোহর দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ ভিকটিমের শরীর ঢেকে রাখা চাদরকে ঘিরে বিতর্কের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। 

লালবাজারের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে এই তিনটি অডিও ক্লিপই প্রমাণ করে যে পুলিশ পরিবারকে ডেকেছে এবং তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন কোনও তথ্য দেয়নি। তবে নির্যাতিতার মা ও বাবার দাবি, এই তিনটি অডিও ক্লিপ কোথা থেকে ভাইরাল হয়েছে তা তারা জানেন না। তারা এর দায় নেবে না বলেও জানিয়েছে। চাদরের রঙ ঘিরে আরেকটি বিভ্রান্তি দেখা দেয়। নির্যাতিতার মা গণমাধ্যমের কাছে আরও দাবি করেছেন যে তার মেয়ে লাল কম্বল জড়িয়ে ঘুমাচ্ছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নীল চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে লাশ। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন তার মেয়ের শরীর সবুজ চাদরে ঢাকা।

এদিন লালবাজারের ডিসি (সেন্ট্রাল) স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে ৯ আগস্ট দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চাদরের রং নীল। সবুজ চাদরের কোনো উল্লেখ ছিল না। যে লাল কম্বলটি এসেছে তা ভিকটিম নিজেই ব্যবহার করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে তা উদ্ধার করা হয়। কম্বলটি আলাদাভাবে ‘জব্দ’ করে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *