পুলিশ কেন তাড়াহুড়ো করলো? মৌমিতাকে দাহ করতে

আরজি কর মামলায় নিহত ডাক্তারকে পুলিশ জোরপূর্বক ও তড়িঘড়ি করে দাহ করেছে। এমন অভিযোগ সামনে আসছে। এর আগে নির্যাতিতার বাবাও এ নিয়ে অভিযোগ করেন। এবং এখন শ্মশানের ম্যানেজার এই বিষয়ে মুখ খুললেন। নির্যাতিতার বাবার কথাও মেনে নেন তিনি। আর এতে ভিকটিমের ময়নাতদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্মশানের ম্যানেজার বলেছেন, ‘পুলিশ বাকি মৃতদেহের আগে আরজি কর-এর মৃতদেহকে দাহ করতে বলেছে। নিহতের পরিবার এখনো আসেনি। তার আগেই শ্মশানে আসে পুলিশ। তারা আমাদের বলতে থাকে- তাড়াতাড়ি কর, তাড়াতাড়ি কর।’ এই বিষয়য়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কেন এই তাড়াহুড়ো করল?

এ প্রসঙ্গে নিহতের বাবা বলেন, শ্মশানে আমার মেয়ের আগে আরও তিনটি লাশ ছিল। তবে পুলিশের প্রভাবে আগে আমার মেয়ের লাশ দাহ করা হয়েছে’। এদিকে নিহতের মাও পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদেরকে মোটেও সহযোগিতা করেনি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের চেষ্টা ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে লাশ সরিয়ে ফেলা’।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট সকালে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে এক তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া যায়।এর পর থেকে হাসপাতাল চত্বর ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা টালা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। পরে তারা হাসপাতালে ফিরে আসেন। এ সময় পুলিশ মেয়েটির লাশ হাসপাতাল থেকে বের করার চেষ্টা করে। এরপর থেকে পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনায় প্রথমে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এবং পরবর্তীতে ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হয়। এই অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ ঘটনা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। এ নিয়ে গত ১০ দিন ধরে চলছে নানা বিতর্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *