বর্ষাকালে চারদিকে জমে থাকা জল ও মশার সমস্যা থাকে। এর সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপও। তাই জ্বর, শরীর ব্যথা হলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান। তবে জ্বর মানেই ডেঙ্গু নয়। তাই আপনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না তা বুঝতে এই সমস্ত তথ্য জেনে নিন।
১) ডেঙ্গুতে ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। ক্রমাগত জ্বর থাকতে পারে এবং ঘামের সাথে ফিরে আসতে পারে। মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, ত্বকে লাল ফুসকুড়ি ডেঙ্গুর লক্ষণ হতে পারে।
২) এছাড়াও বমি বমি ভাব, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং হাড় বা পেশীতে তীব্র ব্যথা হতে পারে। দুই দিন পর জ্বর না নামলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) এই সময়ে যতটা সম্ভব জল পান করুন। এই সময়ে, আরও তরল শরীরে যেতে হবে। সাদা পানি, লেবুর রস, ডাবের পানি খেতে ভালো না লাগলেো তাহলে ফলের রস পান করতে পারেন।
৪) বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তির লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিন্তু শরীর বা মাথা ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন না নেওয়াই ভালো। কারণ এতে রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে।
৫) ডেঙ্গু তিন প্রকার, ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’। ডেঙ্গু ‘এ’-তে আক্রান্ত হলে সাধারণত চিন্তার কিছু নেই। তবে ডেঙ্গু ‘বি’-তে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা, বমির মতো সমস্যা দেখা যায়। আর ডেঙ্গু ‘সি’ রোগে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হতে পারে।
৬) ডেঙ্গু জ্বর এডিস মশা দ্বারা বাহিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। তবে এডিস মশা সকাল ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
৭) দেখবেন বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন জল জমে না থাকে। এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। বাড়ির ছাদে বা বারান্দার ফুলের টবে, নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার বা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতেও এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।