ভেগান ডায়েট ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই খাবার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই ভালো বলে দাবি বিভিন্ন মহলে। এই খাদ্যে সমস্ত প্রাণীজ খাদ্য এড়ানো হয়। কোন মাংস, ডিম বা দুগ্ধজাত দ্রব্য এই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ডায়েট মেনে চলা সহজ নয়। এই ডায়েট সঠিকভাবে অনুসরণ না করলে শরীরে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টির মারাত্মক ঘাটতি হয়। কিন্তু একবার এই ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিরাট কোহলি থেকে দীপিকা ,সোনম কাপুর, রিচা চাড্ডা থেকে অক্ষয় কুমার, সবাই ইদানীং এই ডায়েট অনুসরণ করছেন। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে নিরামিশ খাবার পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ। উপরন্তু, এই খাদ্যে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে। এই কারণেই একটি নিরামিষ খাদ্য দীর্ঘ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করতে যথেষ্ট শক্তিশালী। এই খাদ্যের সুবিধা কি?
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: এই খাবারটি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও কমায়। পুষ্টিবিদ রেশমি রায়চৌধুরীর মতে, স্তন ক্যান্সার, যোনি ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: শাকসবজিতে উপস্থিত বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও বেশি। যে কারণে আমেরিকা, ইউরোপের মানুষের মধ্যেও ভেগান ডায়েট ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভারতেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: নিরামিষাশী খাবারে তাজা শাকসবজি, ডাল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি থাকে। এই সব খাবারই হার্টের জন্য ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা মাংস খান বা নিরামিষাশী তাদের তুলনায় ভেগানদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি 75 শতাংশ কম।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: পুষ্টিবিদদের মতে, এই ডায়েট দীর্ঘদিন মেনে চললে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এই জীবনধারা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভেগান ডায়েট ওজন কমাতে সাহায্য করে। স্থূলতাও ডায়াবেটিসের সাথে জড়িত। এই খাবারটি রক্তে Hb1c এর ভারসাম্য বজায় রাখে।