রবিবার রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দিল্লি হারলো ৪৭ রানে

ম্যাচের পর আন্দ্রে রাসেল গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের অকাতরে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। মিচেল স্টার্ক থেকে সুনীল নারিন, কলকতার সমর্থকদের প্রত্যেকেই আলাদা করে প্রশংসা করে গেলেন। শনিবার এবারের আইপিএলে কেকেআর শেষ ম্যাচটা ইডেনে খেলে ফেলল। শুধু খেলল নয়, একইসঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথম টিম হিসাবে এবার প্লে অফ নিশ্চিত করল তারা। স্বাভাবিকভাবেই একেবারে ফুরফুরে মেজাজে পুরো টিম। দলের মালিক শাহরুখ খান আসেননি ঠিকই। তবে নিশ্চিতভাবে তাঁর বার্তাও পৌঁছে গিয়েছে টিমের কাছে।

তবে মুম্বই-জয় নিয়ে আর খুব বেশি ভাবতে চাইছে না কেকেআর। বরং সে সব ভুলে শ্রেয়স আইয়াররা সোমবার নতুন এক যুদ্ধে নামতে চলেছেন। সামনে গুজরাট টাইটান্স। এদিন দুপুরে টিম আহমেদাবাদ উড়ে গিয়েছে। প্লে অফ নিশ্চিত করার পর কেকেআরের লক্ষ্য এখন টেবিলের শীর্ষে থাকা। চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ে সেই সম্ভাবনা আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ রাজস্থান রয়্যালস, তারা দুনম্বরেই রয়ে গিয়েছে। কেকেআর যদি শেষ দুটো ম্যাচ জিততে পারে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই শেষ করবেন শ্রেয়সরা। সেটাই এখন লক্ষ্যে নাইটদের।

কেকেআর গত কয়েকটা মরশুমে ভালো পারফর্ম করে পারেনি। এবার শুরু থেকেই দুর্ধর্ষ ফর্মে কলকাতার দল। অনেকেই বলছেন, গম্ভীরের প্রত্যাবর্তন পুরো টিমকে বদলে দিয়েছে। গতবারের থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি এবারের দলটায়। টিমের মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটেছে। গম্ভীর এসেই ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন।

চোটের জন্য দশটা ম্যাচ মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে। তিনি ইডেনে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে দারুণ একটা ইনিংস খেলেন। ম্যাচের আগের দিন সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। একটা অদ্ভুত উত্তেজনা হচ্ছিল। নীতীশ রানা বলছিলেন, ‘‌‘ম্যাচের আগের রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। সকাল সাড়ে সাতটা-আটটায় ঘুমোতে যাই। ভিতরে ভিতরে একটা উত্তেজনা হচ্ছিল। শুধু মনে হচ্ছিল, আমি যেন আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে নামছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *