এই পাঁচ আয়ুর্বেদিক উপায়ে, মুখ হবে দাগহীন

যাঁদের তেলতেলে ত্বক, তাঁরা গরম পড়তে না পড়তে ভুগতে থাকেন দুশ্চিন্তায়। কারণ প্যাচপেচে ধুলো, ঘাম, দূষণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখে হামলা শুরু হয় ব্রণর। ব্রণের উৎপাত থেকে নিস্তার পাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। ব্রণ সারানোর একাধিক উপায় বলা আছে প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদে। এ সব আয়ুর্বেদিক উপাদান আপনি স্পট ট্রিটমেন্টের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ পুরো মুখে প্যাক লাগানোর দরকার নেই, শুধু ব্রণর উপরে লাগালেই হবে।

হলুদ ও তুলসি ব্রণ সারাতে দারুণ কাজ দেয়। কাঁচা হলুদ দু’চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে ভালো করে ধুয়ে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, ধুয়ে ফেলবেন শুকিয়ে গেলে। নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। নিমপাতা বেঁটে তার মধ্যে কয়েক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে লাগালে দারুণ কাজ দেবে।

নানারকম ব্যাকটেরিয়া মধু নষ্ট করতে পারে। ব্রণর উপরে খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা, কাটাছেঁড়া কমাতে চন্দন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে চন্দনগুঁড়ো গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। শীতলতার অনুভূতি হবে সঙ্গে সঙ্গে। এরপর শুকোতে দিন। শুকিয়ে টান ধরলে জলে ধুয়ে ফেলুন। দুটো পাতিলেবু চিপে রস বের করে নিন। এই রসে জল মেশান দু’চামচ। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *