রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।তিনি জানান, নির্বাচনে ফায়দা তোলার উদ্দেশ্য এগুলা।আরও একজনকে অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক দলের তরফে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল।
মমতা শুক্রবার বর্ধমানে প্রচার সভায় গিয়ে সেই ইস্যুতেই সরব হলেন । মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সন্দেশখালির কথা বলেন। সন্দেশখালিতে আমি কিছুই ঘটনে দিইনি। জমিজমা নিয়ে অভিযোগ ছিল। আমাদের অফিসাররাই মিটিয়ে দিয়ে এসেছে। আর আপনি কি করছেন?একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত, তার সঙ্গে কি ব্যবহার করছেন রাজ্যপাল?”
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন । এরপর রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজভবনের কোনও অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ, রাজ্যপালের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ শুনে রাখুন,আমার কাছে আগেও হাজারটা ঘটনা এসেছে। আমি কোনও দিন কোনও কথা বলিনি। কাল মেয়েটির কান্না আমি দেখেছি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে বলার আগে ভেবে দেখুন। ঘরে কাজ করে বলে…। এক বার নয় পরপর দুবার মলেস্টেশন করেছে।”