কোন কোন উপসর্গ জানান দেয় যে কিডনির সমস্যা হয়েছে?

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা না করার প্রবণতা একাধিক লাইফস্টাইল ডিজিজ ডেকে আনে। তার মধ্যে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস রয়েছে। হলদে বা লালচে প্রস্রাবের রং, কোমরের নীচের অংশে যন্ত্রণা, বমি-বমি ভাব—এই ধরনের উপসর্গই জানান দেয় যে আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে। ব্যথা-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় কিডনিতে পাথর হলে। সময় থাকতে কিডনির দেখভাল না করলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া সুস্থ হওয়ার আর কোনও উপায় থাকে না। মূলত জীবনধারার কারণেই পাথর জমে কিডনিতে। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খাওয়া থেকে শুরু করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া আপনার ডায়েটে যদি অক্সালেট ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা অত্যধিক বেশি হয়, সেখান থেকে পাথর তৈরি হতে পারে। তবে, কিডনির পাথর খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমেও রুখে দেওয়া যায়।

লেবুজাতীয় ফল: পাতিলেবু, কমলালেবু ও মুসাম্বি লেবুর মতো ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। ডিটক্সিফাইয়ের কাজ করে লেবুজাতীয় ফল। এটি কিডনির কাজকে সচল রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান: প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে কিডনির সমস্যা এড়াতে গেলে। কিডনির কাজ হল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে এই কাজটা সম্ভব নয়।

নুন খাওয়া কমান: খাবারে নুন হওয়া সত্ত্বেও পাতে কাঁচা নুন নিয়ে বসেন অনেকে। কাঁচা নুন বা অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস কিডনির সমস্যা বাড়ায়। সোডিয়াম থাকে নুনের মধ্যে, যা কিডনি শরীর থেকে বের করতে পারে না। এখান থেকে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেয়েও এই সমস্যা দেখা দেবে।

কফি একদম নয়: এই গরমে কফি একেবারেই ছুঁয়ে দেখা যাবে না। কফি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন যদি কিডনির সমস্যা থাকে। কফির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন রয়েছে, যা বিপজ্জনক কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *