ভারতে কেন হোয়্যাটসঅ্যাপকে বন্ধ করার নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট?

মেটার মালিকাধীন হোয়্যাটসঅ্যাপকে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপে মেসেজ এবং ভয়েস কলিংয়ের এনক্রিপশনের নীতি ভঙ্গ করতে হলে সেই পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত মনমোহনের বেঞ্চে শুনানিতে হোয়্যাটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমরা বলছি যে আমাদের যদি এনক্রিপশনের ভাঙতে হয, তাহলে চলে যাবে হোয়্যাটসঅ্যাপ।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও এরকম কোনও নিয়ম নেই। এমনকী এরকম কোনও নিয়ম ব্রাজিলেও নেই। একটা পুরো শৃঙ্খল আমাদের বজায় রাখতে হবে। আমরা জানি না যে কোন মেসেজে ডিক্রিপ্ট করতে বলা হবে। এটার অর্থ হল যে আমাদের কোটি-কোটি মেসেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে কয়েক বছর ধরে।’

২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যস্থতাকারীদের জন্য যে তথ্যপ্রযুক্তি বিধি আনা হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে মামলা করে হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং মেটা। ওই বিধি অনুযায়ী, চ্যাট চিহ্নিত করতে পারবে এবং কোনও তথ্য প্রথম কে ছড়িয়েছেন, তাঁকে চিহ্নিত করার নিয়ম আছে। সেইসময় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল ওই বিধি নিয়ে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সেনসরশিপের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।

মোদী সরকার অবশ্য অনড় ছিল নিজের অবস্থানে। ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধি মেনে যাতে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়্যাটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যাতে কাজ করে, মোদী সরকার সেই নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হাইকোর্টেও জানিয়েছেন যে সময়ের চাহিদা মেনেই এই বিধি চালু করা হয়েছে। কারণ সাম্প্রদায়িক হিংসার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। যা পুরো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *