রবিবার ইডেনে ম্যাচ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার পরেও শান্ত হচ্ছেন না বিরাট কোহলি। ম্যাচে তিনি আউট ছিলেন না কি নট আউট, তা নিয়ে আপাতত ভাগ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। কারও মতে বিরাট অবশ্যই আউট এবং প্রযুক্তিও সে কথাই বলেছে। নিয়ম অনুযায়ী বিরাট আউটই। কিন্তু বিরাট-ভক্তেরা বিষয়টি মানতে পারছেন না। এমনকি বিরাটকে আউট দেওয়া উচিত হয়নি এটি প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও মত। মহম্মদ কইফ আম্পায়ারিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন । তাঁর সেই পোস্টেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি।
রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল । প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ২২২ রান করে । সেই রান তাড়া করতেই ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান বিরাট। তিনি হর্ষিত রানার বিমারে ব্যাট ছোঁয়ান। বল যায় হর্ষিতের হাতেই ও আম্পায়ার আউট দেন। বল তাঁর কোমরের উপরে ছিল বলে বিরাট মনে করেন এবং তিনি নো বলের দাবি করতে থাকেন। মাঠের দুই আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় বিরাট ক্রিজ়ের বাইরে থাকায় বল তাঁর কোমরের উপরে ছিল কিন্তু তিনি যদি ক্রিজ়ের মধ্যে থাকতেন, তাহলে বলটি বিরাটের কোমরের নীচেই থাকত। তাই তৃতীয় আম্পায়ারও আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। বিরাট তখন মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করেন।এমনকি ডাগআউটে গিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর তাঁর জরিমানাও হয়।
এই ঘটনা সম্পর্কে কইফ সমাজমাধ্যমে লেখেন, বিরাটকে এমন বিমার করা হয়েছিল, যা খেলা যায় না। ক্যামেরা, রিপ্লে, প্রযুক্তি রয়েছে, তার পরেও এমন সিদ্ধান্ত কিন্তু মেনে নেওয়া যায় না। খুবই খারাপ আম্পায়ারিং হচ্ছে। কইফের সেই পোস্টে ইনস্টাগ্রামে লাইক দিয়েছেন বিরাট। এইভাবে কোনও কথা না বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি কইফের সঙ্গে সহমত। শাস্তির পরেও বিরাট যে তাঁর আউট নিয়ে খুশি নন, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।