সলমন খানের বাড়িতে হামলার জন্য বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ৪ লক্ষ টাকা ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল।পুলিশ সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। বুধবার রাতে হরিয়ানা থেকে এই মামলার তৃতীয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আগেই দুই মূল অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তা ও সাগরকুমার পালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
গত রবিবার বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বুধবার রাতে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষ্ণোই গ্যাং ও ওই শুটারদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ছিল।
তদন্তকারীদের জানিয়েছেন , অন্যতম অভিযুক্ত সাগরের হাতে শনিবার রাতেই বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু কে সেই বন্দুক দিয়েছে তা এখনও অজানা। ১ লক্ষ টাকা তাদের অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি। তবে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, সলমনকে খুন করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের।কেবল ‘ভাইজান’কে ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল। হামলার আগে তারা এলাকা ‘রেইকি’ করে বলেও জানা যাচ্ছে।এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে সলমনকে আশ্বাস দিয়েছেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। সলমন খানের বাড়ি গিয়ে তারকার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ”আমি সলমনকে বলেছি সরকার আপনার সঙ্গে রয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মামলার মূল পর্যন্ত পৌঁছব।কেউ রেহাই পাবে না। কোনও গ্যাং কিংবা গ্যাংওয়ার বরদাস্ত করা হবে না।বিষ্ণোইকে খতম করে দেব।”