এই সাহসিনী একদিন বাল্য বিবাহের অভিশাপকে পাশ কাটাতে পেরেছিলেন । আজ সে সরকারি সহায়তায় আইপিএস হওয়ার ব্রত নিয়েছেন। লক্ষ্য একটাই ছিল, তাঁর মতো অসংখ্য মেয়েকে বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। স্রেফ নিজের সাহসে ভর করে সরকারি সহায়তায় নির্মলা এই বছরই ইন্টারমিডিয়েট পাস করল। ৪৪০ নম্বরে মোট ৪২১ নম্বর পেয়েছে সে। এটা তার যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রথম ধাপ।
কুরনুলের এক নিঝুম গাঁ হরিবনমে জন্ম নির্মলার। গত বছরই তিনি এসএসসি পাস করেন ৫৩৭ নম্বর পেয়ে। তাঁর জীবনের গল্প যেন ছবির চিত্রনাট্য। তাঁর বাবা-মা তিন বোনের বিয়ে দিয়েছেন আগেই। নির্মলাকেও বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পড়ার খরচ আর চালাতে পারবেন না বলে ।কিন্তু বেঁকে বসে নির্মলা। জানিয়ে দেয় যে, আরও অনেক পড়াশোনা করতে চায় সে। এই সাহসই নির্মলাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। সোজা গিয়ে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক সাইপ্রসাদ রেড্ডির কাছে। তিনি হচ্ছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক । তিনি নির্মলার এই সাহস, জেদ আর পড়ার ইচ্ছার কথা জেনে এক মুহূর্ত দেরি করেনি।
সোজা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং প্রশাসন বাল্য বিবাহের হাত থেকে নির্মলাকে বাঁচিয়ে নিরাপত্তা দেয়। সঙ্গে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাকে ভর্তি করে দেয় কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে। ব্যস, আর ফিরে তাকাতে হয়নি নির্মলাকে পিছনে । এখন গোটা রাজ্যে টপার তিনি।