বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই জন সন্দেহভাজনকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করল ।এনআইএ সূ্ত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপন করেছিলেন। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফ ঘটনার ২৭ দিন পর গ্রেফতার হলেও আরও দুই অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের খোঁজ পেতে ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল। সংবাদ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই দুই সন্দেহভাজন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও সেখানেই লুকিয়ে থাকেন তাঁরা। অবশেষে তাঁদের গোপন আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় এনআইএ। মুসাভির হুসেন শাজ়িব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এক ব্যক্তি গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে একটি বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন। টাইমার সেট করা ছিল তাতে। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন তীব্র হয়নি।
এনআইএ গত ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এবং তাঁরা জানায় ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। মূল অভিযুক্তকে খুঁজতে কর্নাটক ,তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালান এনআই-এর আধিকারিকেরা। এনআইএ মুজ়াম্মিলকে গ্রেফতারের পর অন্য দুই সন্দেহভাজনের খোঁজ শুরু করে । তাদের দাবি করে, মুজ়াম্মিলের সঙ্গে শাজ়িব এবং আবদুল এই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার হলেন তাঁরা।