লোকসভা নির্বাচন মিটলেই বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে ভারতীয় রেল পরিসেবায়। দূরপাল্লার রুটে আরামপ্রদ যাত্রার জন্য যাত্রীদের ভরসা ছিল এই প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিই। কিন্তুধীরে ধীরে তা বদলে ফেলার পরিকল্পনা ভারতীয় রেল দপ্তরদের। তবে রাজধানী-শতাব্দী বন্ধ হলেও, থাকবে অন্যব্যবস্থা। সেই মতো আঁটঘাট বেঁধেই কাজে নেমেছে রেল কর্তৃপক্ষ।বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল ভারতীয় রেলের এখন সবথেকে জনপ্রিয় ও চাহিদার ট্রেন । ৫১টি ভিন্ন রুটে ছুটছে এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। আগামী দুই বছরের মধ্যেই ভারতে জাপানের মতোই ছুটবে বুলেট ট্রেনও। এই সমস্ত দ্রুতগতির ট্রেনের ভিড়ে কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেস।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, বন্দে ভারতের জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখেই বন্দে ভারত স্লিপার ক্লাস ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামী মে-জুন মাস থেকেই এই স্লিপার ট্রেন চালু হওয়ার কথা আছে। অত্যাধুনিক ব্যবস্থা ও দ্রুতগতির এই ট্রেনে অনেক কম সময়েই গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে।এতদিন বন্দে ভারতের একটাই বড় সমস্যা ছিল যে, সমস্ত ট্রেনই চেয়ার ছিল। শুয়ে যাতায়াত করার ব্যবস্থা ছিল না। এই কারণে রাতে বন্দে ভারত চালানো হত না। স্লিপার ক্লাস চালু হলে রাতেও চালানো যাবে বন্দে ভারত। আর তখনই পুরনো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির জায়গা নিতে পারে বন্দে ভারত। রাজধানী বা শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিও রুটেই ছুটতে পারে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন।
রেলের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও, সূত্রের খবর যে , আপাতভাবে শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তেই বন্দে ভারত চলতে পারে। তবে রাজধানী এক্সপ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বন্দে ভারত স্লিপারের সঙ্গে সমানভাবে চালানো হতে পারে রাজধানী এক্সপ্রেস।