চৈত্রের গরমে বাইরে বের হলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘরে ঢুকলেই আবার এসি। একবার ঠান্ডা, একবার গরমে অনেকেরই হচ্ছে সর্দি-কাশি। তবে এই অবস্থা কিন্তু শুধু ভারতে নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন থেকে শুরু করে ফিলিপিন্স, চেক রিপাবলিক, নেদারল্যান্ডেও বহু মানুষ কাশিতে ভুগছেন। এবং সংক্রমণ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। তাহলে কি এটা করোনার মতোই নতুন কোনও সংক্রমণ? চিকিৎসক-গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এটি হল হুপিং কাফ। এটা একধরনের সংক্রামক রোগ ।চিনের ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। অনবরত কাশিতে ভুগছেন রোগীরা। এই আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
হুপিং কাফ হল এক ধরনের অতি সংক্রামক রোগ। মূলত ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বর্ডেটেলা পর্টুসিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এই সংক্রমণ হলে অনবরত কাশি হতে থাকে, রোগীর অবস্থা এমন হয় যে তাঁর শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। সেখান থেকেই নাম হয়েছে হুপিং কাফ। মূলত সদ্যজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া, খিঁচুনি, এমনকী মৃত্যু অবধি হতে পারে।
হুপিং কাফেও প্রথম স্তরে সেই উপসর্গই গুলি দেখা যায় যেগুলি ,সাধারনত জ্বর, সর্দি-কাশিতে হয়ে থাকে। একটানা খুসখুসে কাশি, নাক থেকে অনবরত জল পড়া, জ্বর হয়। কাশি হওয়ার সময় এমন শব্দ হয়, যা শুনে মনে হয় রোগী শ্বাস নিতে পারছেন না। অতিরিক্ত কাশির জেরে বমি, ক্লান্তিভাবও দেখা দেয়।করোনা সংক্রমণ যেভাবে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়াত, হুপিং কাফের ক্ষেত্রেও একইভাবে সংক্রমণ ছড়ায়। এছাড়া খোলা জায়গায় থুতু বা কফ ফেলা থেকেও ব্যাকটেরিয়া বাতাসে মিশে ছড়িয়ে পড়ে।