ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন প্রাপ্তি রিঙ্কু সিং। সেই টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ এপ্রিল। দীর্ঘদিন ধরেই রিঙ্কু সিং কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলছিলেন । তবে নিয়মিত সুযোগ মিলত না। গত মরসুমে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর ভরসা দেখিয়েছিল । অবিশ্বাস্য কিছু ইনিংস খেলেছেন। এর মধ্যে প্রথমেই থাকবে শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো। কেকেআর শিবির গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে সেই অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন ছেড়েই দিয়েছিল । এমন সময় অবিশ্বাস্য ঘটনা।
অনেক কিছুই তো ঘটে রোজ। কিছু মনে থাকে, অনেক স্মৃতিতে ধুলো জমে যায়। তবে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা ভোলা কার্যত অসম্ভব। আজকের দিনেই ক্রিকেটে এমনই একটা মিরাকল ঘটেছিল । এক দিকে যা আনন্দের, প্রতিপক্ষর জন্য বড় শিক্ষা। এতক্ষণে নিশ্চয়ই মনে পড়ে গিয়েছে! কলকাতা নাইট রাইডার্সের অ্যাওয়ে ম্যাচ। এক বছর আগের আমেদাবাদে নীতীশ রানার সেই দৌড়…।
মিরাকল ঘটে না বারবার । রিঙ্কুর সেই ইনিংসও নয়। গুজরাট টাইটান্সের বাঁ হাতি পেসার যশ দয়াল দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি এমন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হতে পারে তাঁকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। স্ট্রাইকে উমেশ যাদব। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কু সিংকে। এরপর! শেষ পাঁচটি ডেলিভারিই গ্যালারিতে ফেলেন রিঙ্কু সিং। মাত্র ২১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২০৫ রান তাড়া করে জেতে কেকেআর।
রিঙ্কুর সেই পারফরম্যান্স সকলেরই নজর কেড়েছিল। ধারাবাহিকতার পুরস্কার মেলে। রিঙ্কু সিং ভারতীয় দলেও সুযোগ পান । জাতীয় দলের হয়েও ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছেন। সেই অর্থে ব্যাটিং দাপট দেখানোর তেমন সুযোগ পাননি এ বারের আইপিএলে ।নতুন ফিনিশার রিঙ্কু সিংয়ের সব কিছু ঠিক থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা । কেকেআরের পাশাপাশি রিঙ্কুর কাছেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আইপিএলের বাকি ম্যাচ গুলো।