কোনওভাবেই গ্রীষ্মকালেদেহে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। যেহেতু গরমকালের খুব কমন সমস্যা ডিহাইড্রেশন, তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকা দরকার। দিনে ৩ লিটার জল খাওয়ার পরও শরীরে তরলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে কি না, বুঝবেন কীভাবে?
মারাত্মক গরমএপ্রিলের শুরু থেকেই । রোদে পা দেওয়া যেন দুষ্কর। রাস্তায় বেরোলে ঘেমে-নেয়ে একশা হয়ে যেতে হচ্ছে। আগামী দিনে আরও গরম বাড়বে। বাড়বে রোদের তেজও। কিন্তু আপনাকে কাজে বেরোতেই হবে। শরীরকেও ফিট রাখতে হবে তার জন্য । গ্রীষ্মকালে কোনওভাবেই দেহে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। যেহেতু গরমকালের খুব কমন সমস্যা ডিহাইড্রেশন, তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকা দরকার। দিনে ৩ লিটার জল খাওয়ার পরও শরীরে তরলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে কি না, বুঝবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে জেনে রাখুন ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো।
অত্যধিক পরিমাণে জল তেষ্টা পাওয়া, মুখ, ঠোঁটের চারপাশ শুকিয়ে যাওয়া, চামড়ায় টান ধরা, শুষ্ক আবহাওয়ায় যে ভাবে ত্বক শুকিয়ে যায়, মাথা ব্যথা, পেশিতে ক্র্যাম্প, লো প্রেশার, মাথা ঘোরা, শুকনো কাশি, খিদে কমে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি উপসর্গ দেখলেই সাবধান হোন। এই গরমে স্কুল চলছে পুরোদমে। বাড়ির খুদেও দিনরাত দৌড়ঝাপ করে যাচ্ছে। ছোটদের দেহেও তৈরি হতে পারে তরলের ঘাটতি। মুখ ও জিভ শুকিয়ে যাওয়া, ৮ ঘণ্টার বেশি সময় যদি প্রস্রাব না করে, শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, কান্নার সময় চোখ দিয়ে জল না বেরোনো, গরমের মধ্যেও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়, ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাবেন না।