কর্মব্যস্ত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও আমরা সেভাবে গুরুত্ব দিই না শরীরকে।অনেকেরই ভাবনাই থাকে বিশ্রাম নিলেই আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। তবে সমস্যাটা হতে পারে আরও জটিল। রক্তে আয়রনের ঘাটতিও এখনকার দিনে বড় সমস্যা। আর রক্তে আয়রনের অভাব পরে সৃষ্টি করতে পারে নানা সমস্যা।
ক্লান্তি ছাড়াও শরীরে আয়রনের ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্ত লাগে । মুখে, চোখে ফ্যাকাসে ভাব দেখা যায়। অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে অল্পেই হাঁপ ধরা লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গে মাথা ধরার মতো সমস্যাও থাকে ও ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যাওয়া। কমবেশি এই ধরনের লক্ষণগুলি নিয়মিত দেখা গেলে বুঝতে হবে, নেহাতই কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি এটি নয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করাতে হবে।তবেই ধরা পড়বে রক্তাল্পতা ও আয়রনের ঘাটতির প্রমাণ।
এমন খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে উপযোগী । খাবারে প্রাপ্ত আয়রন প্রধানত -হিম আয়রন ও নন-হিম আয়রন এই দু’ধরনের হয়। হিম আয়রন প্রধানত পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিমে। এ ধরনের আয়রনের প্রায় শতকরা ৪০ শতাংশ শরীর সরাসরি শোষণ করতে পারে। অন্যদিকে নন-হিম আয়রন পাওয়া যায় মূলত উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে। তবে এসব আয়রন শরীর শোষণ করতে পারে না। পালংয়ের মতো শাক, ব্রকোলি, ডাল, বিন, বাদাম, বেদানা, নানা ধরনের বীজ, ব্রাউন রাইস, নানা দানাশস্য, হোল হুইট ইত্যাদি খেতে পারেন। আবার ভিটামিন এ এবং সি-সমৃদ্ধ খাবারও তালিকায় রাখলে তা আয়রন শোষণ করতে শরীরকে বিশেষ সাহায্য করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আয়রন সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই শ্রেয়। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট থেকে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।