এক নীরব ঘাতক হল কোলেস্টেরল । এর হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে হৃদ্রোগ। কোলেস্টেরল আবার নিজের সঙ্গে শরীরে জমায় অন্যান্য স্নেহ পদার্থও। ফলে রক্তবাহের ক্ষেত্রেও ক্ষতি হয়ে যায় ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস’। হৃদ্যন্ত্রের সংলগ্ন শিরা বা ধমনীতে এপ্রকার অবরোধ দেখা দিলে এটি যেমন হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে তেমনই মস্তিষ্কে ঘটলে স্ট্রোকের আশঙ্কাও বাড়ে। কোলেস্টেরল ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে নানা বিধিনিষেধ। ওট্স কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য বেশ ভাল খাদ্য ।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, নিয়ম করে ওট্স খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এছাড়া ওট্স স্থূলতার সমস্যা কমাতেও বিশেষ উপযোগী, যা পরোক্ষ ভাবে কমায় হৃদ্রোগের আশঙ্কা।বিভিন্ন প্রকার ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ থাকে ওটসে।যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।‘অ্যাভেনানথ্রামাইড’ হল এমনই একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট । এটি এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রদাহ কমাতে কাজে আসে এবং শিরা ও ধমনীর দেওয়ালে আটকে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদানগুলিকেও সাফ করতেও সাহায্য করে এটি।ওট্স ভেজানো জলে বিটা গ্লুকান নামের ফাইবার বা তন্তু জাতীয় একটি উপাদান থাকে। এটি দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে । ওট্স থেকে প্রাপ্ত ফাইবারে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা রক্তনালির পুনর্গঠনেও সহায়তা করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালিগুলি পুনরায় প্রাণ ফিরে পায়। রক্তবাহ ভাল হলে অক্সিজেনের আদানপ্রদানও ভাল হয়।
ওট্স সকালে প্রাতরাশে রাখতেই পারেন । ডায়েটে পরিমিত মাত্রায় রাখতে হবে ওট্স । বাজার থেকে মশলাদার ইনস্ট্যান্ট ওট্স না কিনে বরং স্টিল কাট কিংবা রোল্ড ওট্স খেলেই ভালো। ওট্স দিয়ে চিলা, স্মুদি বা খিচুরি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে । এ ছাড়া সারা রাত দুধে ওট্স ভিজিয়ে রেখে ফল, কাঠবাদামের সঙ্গেও ওট্স খাওয়া যেতে পারে।