ধর্ষণের মামলা চলছিল। বিচারক নির্যাতিতাকে তার চেম্বারে ডেকে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। বিচারক নির্যাতিতাকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। আর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত তিন বিচারপতির একটি প্যানেল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তারা।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তিনি ধর্ষণের মামলা করেছেন। এ জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি জবানবন্দি নিতে তাকে কামালপুর নিম্ন আদালতে যেতে হয়। বিচারক তাকে তার বাসায় ডেকে নেন। কিন্তু, তার অভিযোগ শোনার পরিবর্তে বিচারক অভদ্র আচরণ শুরু করেন। ওই নারী জেলা ও দায়রা আদালতে বলেন, “আমি জবানবন্দি রেকর্ড করতে বিচারকের চেম্বারে গিয়েছিলাম। আমি জবানবন্দি রেকর্ড করতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ বিচারক আমাকে জড়িয়ে ধরেন। আমি চমকে যাই। আমি সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে আমার আইনজীবী ও স্বামীকে পুরো ঘটনা খুলে বলি। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ধলাই জেলা আদালতের বিচারক গৌতম সরকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্যানেল ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
অপরদিকে নির্যাতিতার স্বামী কামালপুর আইনজীবী সমিতিতে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ওই আদালতে যান প্রধান বিচারপতি সত্যজিৎ দাস, বিচারপতি গৌতম সরকার। তদন্ত শুরু হয়। আইনজীবী শিবেন্দ্র দাশগুপ্ত আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে পিটিআই-কে বলেন, “তিন সদস্যের একটি দল কমলপুর বার অ্যাসোসিয়েশনে এসেছিল। তারা মহিলার অভিযোগের তদন্ত করছে। আমরা সেই প্যানেলে আমাদের বক্তব্য জমা দিয়েছি।”