প্যালেস্টাইনিরা ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।ইজ়রায়েলের মানুষও আশায় বুক বাঁধছেন। শোনা যাচ্ছে, প্যারিসে এক গোপন বৈঠকে বহু বাকবিতণ্ডার পরে সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। গুপ্তচর বাহিনীর নেতা, কূটনীতিক, সেনা আধিকারিক, হামাস নেতা, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে গাজ়া স্ট্রিপে বলে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, । সেক্ষেত্রে শুরু হবে ফের বন্দি বিনিময়।এখনও হামাসের ডেরায় বন্দি শতাধিক ইজ়রায়েলি। তবে হামাসের প্রতিনিধিরা ইজ়রায়েলের এই ‘বার্তার’ সত্যতা মানতে রাজি হননি । গত শুক্রবার প্যারিসের কোনও গুপ্ত স্থানে বৈঠক হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি মিশরের গুপ্তচর বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামেল, আমেরিকার সিআইএ-র প্রধান উইলিয়াম বার্নস, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন।
গাজ়ায় হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের মধ্যে প্রায় ৩১ জনের মৃত্যুর সংবাদ রয়েছে। বাকিদের নিরাপদে ইজ়রায়েলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে দেশবাসী। প্রতি দিনই প্রায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। অপর দিকে, ইজ়রায়েলি বাহিনীর নির্দেশে দক্ষিণ গাজ়ার রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ প্যালেস্টাইনি। এখন স্থল-অভিযান শুরুর হুমকি দিচ্ছে ইজ়রায়েল। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি দু’পক্ষেরই কিছুটা স্বস্তির কারণ হতে পারে।
ইজ়রায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্যারিস ফেরত প্রতিনিধি দল দেশের যুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ মন্ত্রিসভায় তাদের মতামত জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই হামাস ও ইজ়রায়েল আলোচনা চলছে। ইজ়রায়েলের কথায়, হামাস নেতারা ‘অবিশ্বাস্য রকমের’ দাবিদাওয়া রাখছেন। তাঁরা সম্পূর্ণ রূপে যুদ্ধ বন্ধ চান। গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি সেনার প্রত্যাহার চান।চান ইজ়রায়েলের জেল থেকে প্যালেস্টাইনি বন্দিদের মুক্তি । এসব দাবিদাওয়া মানতে রাজি নয় ইজ়রায়েল।তবে এ বার কোন শর্তে দু’পক্ষের রফা হল, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে।